Pages

মসুরের জাত নির্ণয়

মসুরের জাত

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট কর্তৃক পর্যন্ত মসুরের টি উন্নত জাত উদ্ভাবিত হয়েছে যেমন বারিমসুর-, বারি মসুর-, বারি মসুর-, বারি মসুর-৪।
বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত এসব জাত কৃষক পর্যায়ে ব্যাপক আবাদ হলে দেশে ডালের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব হবে। মসুর একদিকে মূল ফসল এবং অন্যদিকে আন্তঃফসল হিসেবে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য খুবই উপযোগী। মসুর চাষে জমির উর্বরতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

মসুরের বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি (মসুর)

বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি

বীজ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে আর্দ্রতার পরিমাণ আনুমানিক ১০% এর নিচে রাখতে হবে। তারপর টিনের পাত্র পলিথিনসহ চটের ব্যাগ অথবা আলকাতরার প্রলেপ দেওয়া মাটির পাত্রে বীজ সংরক্ষণ করতে হবে।

ডাল ফসল মসুরে সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি

সারের পরিমাণ-প্রয়োগ পদ্ধতি

জমিতে শেষ চাষের সময় হেক্টরপ্রতি নিম্নরুপ সার ব্যবহার করতে হয়
সারের নাম
সারের পরিমান/হেক্টর
ইউরিয়া
৪০-৫০ কেজি
টিএসপি
৮০-৯০ কেজি
এমপি
৩০-৪০ কেজি
অণুজীব সার
সুপারিশ মত

ডাল ফসল মসুরের রোগবালাই দমন

রোগবালাই দমন

মসুরের গোড়া পচা রোগ দমন
রোগের জীবাণু স্কেলেরোসিয়াম রলফসি নামক এক প্রকার ছত্রাক। গাছ আক্রান্ত হলে পাতা ক্রমান্বয়ে হলদে রং ধারণ করে। আক্রান্ত গাছ ঢলে পড়ে শুকিয়ে যায়। মাটি ভিজা থাকলে গাছের গোড়ায় ছত্রাকের সাদা মাইসেলিয়াম সরিষার দানার ন্যায় স্কেলেরোসিয়াম গুটি দেখা যায়। জীবানু গাছের অবশিষ্টাংশ, বিকল্প পোষাক মাটিতে বেঁচে থাকে এবং পরবর্তী বছরে ফসল আক্রমণ করে। ভিজা স্যাঁতসেঁতে মাটি রোগ বিস্তারের সহায়ক।

ডাল ফসল মসুর এর সাথী ফসল হিসেবে চাষ ও ফসল সংগ্রহ

সাথী ফসল হিসেবে চাষ

দেশে সাধারণত রোপা আমন ধান কর্তনের পরই রবি শস্যের আবাদ হয়ে থাকে। তবে ধান কাটার পর অনেক ক্ষেত্রেই জমিতে রস থাকে না। আবার কখনও কখনও জমিতে জো আসে না। অবস্থায় সময়মত মসুর বপন করা যায় না। কিন্তু রোপা আমন ধানের জমিতে মসুর সাথী ফসল

ভূট্টার পরিচিতি

পরিচিতি
বাংলা নাম ভুট্টা
ইংরেজী নাম
Maize
বৈজ্ঞানিক নাম Zea mays
পরিবার Gramineae
          

গমের বীজের হার ও বপন পদ্ধতি

বীজের হার ও বপন পদ্ধতি
শুভ্রা,বর্ণালী ও মহর জাতের ভুট্টার জন্য হেক্টরপ্রতি ২৫-৩০ কেজি এবং খৈভুট্টার জন্য ১৫-২০ কেজি হারে বীজ বুনতে হয়। হাইব্রিড জাতের জন্য হেক্টরপ্রতি ১৫ কেজি বীজ বুনতে হবে। বীজ সারিতে বুনতে হবে। সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৭৫ সেমি। সারিতে ২৫ সেমি দূরত্বে একটি গাছ রাখতে হবে।

ভূট্টা সংগ্রহ করার পদ্ধতি

ভূট্টা সংগ্রহ
দানার জন্য ভুট্টা সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোচা চকচকে খড়ের রং ধারণ করলে এবং পাতা কিছুটা হলদে হলে সংগ্রহের উপযুক্ত হয়। এ অবস্থায় মোচা থেকে ছাড়ানো বীজের গোড়ায় কালো দাগ দেখা যাবে। ভুট্টা গাছের মোচা ৭৫-৮০% পরিপক্ক হলে ভুট্টা সংগ্রহ করা যাবে। বীজ হিসেবে মোচার মাঝামাঝি অংশ থেকে বড় ও পুষ্ট দানা সংগ্র্রহ করতে হবে।

ভূট্টা ফসলে সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি

সারের পরিমান
সারের নাম
সারের পরিমাণ/ হেক্টর
কম্পোজিট হাইব্রিড
রবি
খরিফ
রবি
ইউরিয়া
১৭২-৩১২ কেজি ২১৬-২৬৪ কেজি
৫০০-৫৫০ কেজি
টিএসপি
১৬৮-২১৬ কেজি ১৩২-২১৬ কেজি
২৪০-২৬০ কেজি
এমপি ৯৬-১৪৪ কেজি ৭২-১২০ কেজি ১৮০-২২০ কেজি
জিপসাম ১৪৪-১৬৮ কেজি ৯৬-১৪৪ কেজি ২৪০-২৬০ কেজি
জিংক সালফেট ১০-১৫ কেজি ৭-১২ কেজি ১০-১৫ কেজি
বোরিক এসিড ৫-৭ কেজি
৫-৭ কেজি
৫-৭ কেজি
গোবর ৪-৬ টন ৪-৬ টন ৪-৬ টন

ভূট্টা রোপণের সময়

রোপনের সময়
বাংলাদেশে রবি মৌসুমে মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য অগ্রহায়ণ (অক্টোবর-নভেম্বর) এবং খরিফ মৌসুমে ফাল্গুন থেকে মধ্য-চৈত্র (মধ্য ফেব্রুয়ারী- মার্চ) পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

ভূট্টা ফসলে সেচ প্রয়োগ করার পদ্ধতি

সেচ প্রয়োগ
উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের ভুট্টার আশানুরূপ ফলন পেতে হলে রবি মৌসুমে ৩-৪ টি সেচ দিতে হবে।
প্রথম সেচঃ বীজ বপনের ১৫-২০ দিনের মধ্যে (-৬ পাতা পর্যায়)।
দ্বিতীয় সেচঃ বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে (-১২ পাতা পর্যায়)।

গমের পরিচিতি

বাংলা নাম গম
বারি গম-১৯
ইংরেজী নাম Wheat
বৈজ্ঞানিক নাম Triticum aestivum
পরিবার Gramineae

গম বপনের সময়

বপনের সময়
উপযুক্ত সময় কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণের তৃতীয় সপ্তাহ (নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত)| যে সব এলাকায় ধান কাটতে ও জমি তৈরি করতে বিলম্ব হয় সেখানে কাঞ্ছন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা ও গৌরব বপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

গমে সার প্রয়োগ পদ্ধতি ও সারের পরিমাণ

সার প্রয়োগ পদ্ধতি
সেচসহ চাষের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ইউরিয়া সারের দুই তৃতীয়াংশ এবং সম্পূর্ণ টিএসপি, এমপি ও জিপসাম শেষ চাষের পূর্বে প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া প্রথম সেচের সময় উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
সেচছাড়া চাষের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সার অর্থাৎ ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি ও জিপসাম শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।

গমের জন্য মাটি নির্বাচন

মাটি
উঁচু ও মাঝারি দোআশ মাটি গম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। লোনা মাটিতে গমের ফলন কম হয়।

গমের রোগ ব্যবস্থাপনা

রোগ ব্যবস্থাপনা
পাতার মরিচা রোগ
পাকসিনিয়া রিকন্ডিটা নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। প্রথমে পাতার উপর ছোট গোলাকার হলুদাভ দাগ পড়ে। শেষ পর্যায়ে এই দাগ মরিচার মত বাদামি বা কালচে রংয়ে পরিণত হয়। হাত দিয়ে আক্রান্ত পাতা ঘষা দিলে লালচে মরিচার মত গুড়া হাতে লাগে। এ রোগের লক্ষণ প্রথমে নিচের পাতায়, তারপর সব পাতায় ও কান্ডে দেখা যায়। দেশের উত্তরাঞ্চলে এরোগ বেশী হয়ে থাকে।

গম বপন পদ্ধতি

বপন পদ্ধতি
ছিটিয়ে বা সারিতে গম বীজ বপন করা যায়। সারিতে বপনের জন্য জমি তৈরির পর লাংগল দিয়ে সরু নালা তৈরি করে ২০ সেমি দূরত্বের সারিতে ৪-৫ সেমি গভীরে বীজ বুনতে হয়।

গমের ফসল সংগ্রহ

ফসল সংগ্রহ
চৈত্র মাসের প্রথম থেকে মধ্য-চৈত্র (মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম) পর্যন্ত গম ফসল কর্তন করা হয়।

ধানের ইঁদুর দমন

ইঁদুর দমন
বিভিন্ন ধরনের ইঁদুরের মধ্যে কালো ইঁদুর, মাঠের বড় কালো ইঁদুর, নরম পশমযুক্ত মাঠের ইঁদুর ও ছোট লেজযুক্ত ইঁদুর ধানের ক্ষতি করে। এদের মধ্যে প্রথম দুটি প্রজাতির প্রাদুর্ভাব বেশি। ইঁদুর ধানগাছের কুশি কেটে দেয়। সাধারণত অতি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ধানের জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হয়। এরা বর্ষাকালে সাঁতার কেটে জলী আমন ধানের গাছ কেটে বাসা বানায়। ধান পাকলে ধানের ছড়া কেটে মাটির নিচে সুড়ঙ্গ করে জমা রাখে। ব্যবস্থাপনার জন্য-

ধানের সেচ ব্যবস্থাপনা

সেচ ব্যবস্থাপনা
চারা রোপনের পর জমিতে পানি কম রাখতে হবে যাতে চারা তলিয়ে না যায়। ধানের জমিতে সব সময় গভীর পানি ধরে রাখার প্রয়োজন নেই। তার চেয়ে একটি পূর্ণ মাত্রায় সেচ দেওয়ার পর পরবর্তী সেচ দেওয়ার আগে জমি তিন দিন শুকনো রাখলে ধানের ফলন তেমন কমবে না উপরন্তু পানির পরিমণি ২৫-৩০ ভাগ কম লাগবে।

ধানের জাত নির্বাচন

জাত নির্বাচন
জমি, মৌসুম, পরিবেশ ও শস্যক্রম বিবেচনায় রেখে উপযুক্ত ধানের জাত নির্বাচন করা উচিত। সে অনুযায়ী সারণী-১ থেকে মৌসুমভেদে উপযুক্ত ধানের জাত নির্বাচন করা যেতে পারে।
আউসঃ বি আর-৩, বি আর-২০, ২১, ২৬। 
আমনঃ বি আর-১১, ব্রি ধান- ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৮, ৩৯, ৪০।
বোরোঃ বি আর-১৪, ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯।

ধানের জৈবিক আগাছা দমন পদ্ধতি

জৈবিক আগাছা দমন পদ্ধতি
ভক্ষণকারী জীব, পোকামাকড়,ছত্রাক ও পরজীবির মাধ্যমে পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে আগাছা দমন করাই হচ্ছে জৈবিক আগাছা দমন। স্বমন্বিত ধান-হাঁস এমনি একটি জৈবিক আগাছা দমন পদ্ধতি।

ধানের বীজ সংরক্ষণ

 ধানের বীজ সংরক্ষণ:
রোগ ও পোকামাকড় মুক্ত গাছ থেকে বীজ বাছাই করে কেটে এনে মাড়াই করার পর অন্তত ৪-৫ দিন রোদে শুকিয়ে বীজের আদ্রতা শতকরা ১২ ভাগের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। পুষ্ট ধান বাছাই করে ঠান্ডা অবস্থায় বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি মণ ধানের সাথে ১২০ গ্রাম নিম বা নিশিন্দা অথবা বিষকাটালীর পাতার গুঁড়া মিশিয়ে সংরক্ষণ করলে পোকার আক্রমণ প্রতিহত হয়।

লবণ সহিঞ্চু ধানের জাত


বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা দেশের উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় চাষাবাদের জন্য ধানের দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। জাত দুটি দেশের খাদ্যনিরাপত্তা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ধানের পরিচিতি

পরিচিতি
বাংলা নাম
ধান
ইংরেজী নাম
Rice
বৈজ্ঞানিক নাম
Oryza sativa
পরিবার
Gramineae

ধান রোপনের জন্য জমি তৈরি

রোপনের জন্য জমি তৈরি
জমিতে হেক্টরপ্রতি ৩-৫ টন জৈবসার ছিটিয়ে দিন। এখন ৫-১০ সেন্টিমিটার পানি দিয়ে দুটি চাষ আড়াআড়ি ভাবে দিয়ে ৭-৮ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এবার ১০-১৫ সেন্টিমিটার গভীর করে আড়াআড়ি ভাবে দুটি চাষ ও দুটি মই দিয়ে ৩-৪ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এরপর দিতে হবে শেষ চাষ।

ধানের চারা রোপন

চারা রোপন
চারার বয়স
ভাল ফলন পেতে হলে উপযুক্ত বয়সের চারা রোপন করা জরুরি। সারণী ২ তে জাত ও মৌসুম ভেদে চারার বয়স উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণ ভাবে আউশে ২০-২৫ দিন, রোপা আমনে ২৫-৩০ দিন এবং বোরাতে ৩৫-৪৫ দিন হওয়া উচিত।

ধানের বীজতলা তৈরি

বীজতলা তৈরি
বীজতলা তৈরির আগে সারণী ২ দেখে জেনে নিতে হবে কখন কোন জাতের ধানের বীজ বীজতলায় বপন করতে হবে। চারটি পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করা যায়। এগুলো হচ্ছে শুকনো, কাদাময়, ভাসমান ও ডাপোগ বীজতলা।

ড্রাম সিডার দিয়ে বোনা ধানে আগাছা দমন

ভূমিকা
বাংলাদেশে ড্রামসিডার দিয়ে সরাসরি ধান বপন পদ্ধতি দ্রূত জনপ্রিয় হচ্ছে। আমদানির পাশাপাশি দেশের অভ্যন-রে ড্রামসিডার তৈরিও হচ্ছে। আগাছা দমনই ড্রামসিডার পদ্ধতির অন্যতম প্রধান সমস্যা। বোনা ধানের আগাছা সমস্যা সাধারণত এলাকাকেন্দ্রিক একটি সমস্যা। সব অঞ্চলে এবং সব জমিতে আগাছার উপদ্রব একই মাত্রার নয়। ধানের ফলন বাড়াতে এবং ভবিষ্যৎ আগাছার বংশবৃদ্ধি রোধকল্পে আগাছা দমন করতে হবে।

ড্রাম সিডারের সাধারণ তথ্য ও ব্যবহার

সাধারণ তথ্য
এটি প্লাস্টিকের তৈরি ছয়টি ড্রাম বিশিষ্ট বীজ বপন যন্ত্র। ড্রামগুলো ২.৩ মিটার প্রশস্ত লোহার দন্ডে পরপর সাজানো থাকে। লোহার দন্ডের দুপ্রান্তে প্লাস্টিকের তৈরি দুটি চাকা এবং যন্ত্রটি টানার জন্য একটি হাতল যুক্ত থকে। প্রতিটি ড্রামের দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ৫৫ সেন্টিমিটার এবং এর দু’প্রান্তে ২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে দুসারি ছিদ্র আছে। প্রয়োজনে রাবারের তৈরি সংযুক্ত বেল্টের সাহায্যে এক সারি ছিদ্র বন্ধ রাখা যায়। ব্রি ২০০৩ সালে বাংলাদেশে ড্রামসিডার প্রবর্তন করে।
 

Sample text

Sample Text

Sample Text