Pages

ধানের জৈবিক আগাছা দমন পদ্ধতি

জৈবিক আগাছা দমন পদ্ধতি
ভক্ষণকারী জীব, পোকামাকড়,ছত্রাক ও পরজীবির মাধ্যমে পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে আগাছা দমন করাই হচ্ছে জৈবিক আগাছা দমন। স্বমন্বিত ধান-হাঁস এমনি একটি জৈবিক আগাছা দমন পদ্ধতি। ক) ধান-হাঁস চাষ পদ্ধতিতে জমি তৈরির সময় ২০-২৫ মণ গোবর সার মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। ধানের চারা রোপনের ৭-১৪ দিন পর ২০-৩০ দিন বয়সের হাঁসের বাচ্চা সারি করে লাগানো ধান ক্ষেতে অবমুক্ত করতে হয় এবং ধানে ফুল আসার আগে হাঁস ধান ক্ষেত থেকে উঠিয়ে নিতে হয়।
খ) হাঁসের বাচ্চা যাতে অন্যত্র না চলে যায় বা এদের সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হলেক্ষেতের চারদিকে জাল দিয়ে বেড়া দিলে ভাল হয়।
গ) হিসাব করে দেখা গেছে, এ পদ্ধতিতে প্রতি বিঘা জমিতে ৪০-৫০ টি হাঁসের বাচ্চার প্রয়োজন।
ঘ) হাঁস কার্যকরভাবে ধানের আগাছা খেয়ে সম্পূর্ণভাবে তা ধ্বংস করে  এবং কীটপতঙ্গ খেয়ে তাদেরকে দমন করে। হাঁসের বিষ্ঠা জমিতে জৈব সারের কাজ করে।
ঙ) এ পদ্ধতিতে আগাছা দমনে কীটনাশক প্রয়োগ ও রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। ফলে ধান চাষের খরচ অনেক কমে যায়।

এ পদ্ধতি অনুসরণ করে কৃষক একই সাথে ধান, হাঁস ও ডিম উৎপাদন করতে পারেন।
 

Sample text

Sample Text

Sample Text